প্রভাতের ভার্মি কম্পোষ্ট এখন কৃষকের ভরসা

প্রভাত কুমার মাহাত, 

ফসলী ভার্মি কম্পোস্ট

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বিষমডাঙ্গা গ্রামের হরেন্দ্রনাথ মাহাতোর চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে প্রভাত কুমার মাহাতো এইচএসসি পাশ কেও কৃষিকাজে সম্প্রক্ত হয়ে বিভিন্ন ফসল ফলান। প্রভাত মাহাতো এক পর্যায়ে ফসল ফলাতে জমিতে প্রচুর পরিমান রাসায়নিক সার ব্যবহার কেও থাকেন। দিন দিন এর মাত্রা বৃদ্ধিই হচ্ছে। কিন্তু এ পরিমাণ সার ব্যবহার করেও চাহিদা মাফিক ফসল পাচ্ছেন না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রভাত।
গত ০৭/০৮/২০২১ তারিখে প্রভাত এনডিপি এসইপি ডেইরী প্রকল্পে ভর্তি হন। এসইপিতে ভর্তি হয়ে এনডিপি এসইপির সহযোগিতায় “সাতক্ষিরা উন্নয়ন প্রচেষ্টা” এনজিও পরিদর্শণ করেন। “সাতক্ষিরা উন্নয়ন প্রচেষ্টা”র ভার্মি কম্পোষ্ট তাকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। বাণিজ্যিকভাবে ভার্মি কম্পোষ্ট উদ্যোগ নিতে উদ্যো্গী
হন। এনডিপি—এসইপির সহযোগিতায় প্রথমে এবিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পরে বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) তে অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর করানো হয়। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারী অফিস হতে সনদ সংগ্রহ করা হয় । এরপর প্রভাত ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন শুরু করেন। এক পর্যায়ে এনডিপি—এসইপি ডেইরী প্রকল্প মাধ্যমে প্রভাতের ভার্মি কম্পোষ্টের গুণগত মান ঢাকা হতে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন এবং উন্নত মোড়কজাত কেও দুই কেজির প্যাকেট কেও ব্র্যান্ডিং করে।
বর্তমানে তার পণ্য বগুড়া, রাজশাহী, রায়গঞ্জ সহ ঢাকার বিভিন্ন নার্সারীতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিমাসে প্রভাত প্রায় আট থেকে দশ মেট্রিক টন ভার্মি বাজারজাত করছেন।
ডেইরী ক্লাস্টার হতে গোবর সংগ্রহ করার ফলে খামারীগণ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং খামারগুলো পরিষ্কার—পরিচ্ছন্ন হচ্ছে । এতে এলাকার গবাদী প্রাণীর খামার গুলো রোগব্যাধির প্রকোপ কমে এসেছে । কম খরচে গোবর সংগ্রহের ফলে ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে। ফলে কৃষক কম খরচে ফসল উৎপাদন করছে এবং সোনালী ফসলে গোলা ভরে তুলছে।